গোবরা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে টুটুল চৌধুরী

26
নাদিম সিকদার-স্টাফ রিপোর্টার।
গোপালগঞ্জ এর গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টুটুল চৌধূরী নিজ হাতে গড়েছেন সূর্য শিশির ফাউন্ডেশন, যে ফাউন্ডেশন এলাকার সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি টিউশনিং – শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যার শিক্ষার্থীদের নিজ বাসা ছেড়ে দেয়া সহ অন্যান্য জায়গায় থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা, সূর্য শিশির ব্লাড ব্যাংক, করোনা দূর্যোগে নিজস্ব অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সহায়তা দিয়েছেন, এ বছরে ২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে করোনা রোগীর পাশে দাড়িয়েছেন, আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে গড়েছেন লাইব্রেরী।আরো জানা যায়, ইউনিয়নবাসীর যেকোনো সমস্যা, সেটা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন, সামাজিক বা মানবিক – যেটাই হোক, দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগীতার হাত প্রসারিত করে মানবতার ফেরীওয়ালা হিসেবে সুপরিচিত হয়েছেন তিনি।
এমনকি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে তার অবদানের কমতি নেই। তিনি মার্জিত, ভদ্র স্বভাবী, সদালাপি হওয়ায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে অধিকাংশ এলাকাবাসী আশা করছেন। সে বর্তমানে সুনামের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি গরীবদের ভাতা সহ সরকারের সকল ধরণের সাহায্য সঠিকভাবে বন্টন করেছেন।এ বিষয়ে গোবরা ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী টুটুল বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভাইয়ের আশির্বাদ নিয়ে তার নির্দেশিত পথে চলেছি। তার নির্দেশে এলাকার সকল কর্মকান্ড শতভাগ পালন করার চেষ্টা করেছি। নির্দেশিত পথে চলতে গিয়ে বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করেছি।টুটুল চৌধূরী আরো বলেন, পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।
ইউনিয়নভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্পে যথাযথ অবদান রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম কর্তৃক স্বর্নপদক পেয়েছি। করোনা মোকাবিলায় এবং ত্রান কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য স্বর্নপদক পেয়েছি। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য গোপালগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী নির্বাচিত হয়েছি। ১০৮০ টি গ্রাম আদালতের মধ্যে প্রথম হিসেবে গ্রাম আদালত আইন সংশোধনী বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের কিলা মডেল পরিদর্শন করতে সারাদেশের ছয়জন চেয়ারম্যানের মধ্যে একজন নির্বাচিত হয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নের করনীয় বিষয়ক বিশেষ সেমিনারে একমাত্র চেয়ারম্যান হিসেবে প্রস্তাবনা, সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে বক্তৃতা উপস্থাপন করেছি।
এসব আমার রাজনৈতিক অভিভাবক গোপালগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি মহোদয়ের অবদান। তার সহযোগিতায় মানুষকে ভালোবাসতে পেরেছি।জনগণ যদি আমাকে ভালোবেসে এবার আমার #টেলিফোন মার্কায় ভোট দেন তাহলে আমি পুনরায় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তাঁর সহযোগিতায় ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে রুপান্তরিত করবো, ইনশাআল্লাহ।ভাটিয়াপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী শাহাদুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, গোবরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে টুটুল চৌধূরী এককভাবে এগিয়ে রয়েছেন, তার কারন,গত নির্বাচনে নমিনেশন পেয়ে চেয়ারম্যান হলেও তিনি সর্বসাধারণের সাথে এমন ব্যবহার করেছেন, হতদরিদ্র থেকে শুরু করে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের খবর রেখে মাঠে আছেন।
একই মতামত পোষন করেন পোদ্দারের চরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মহাদেব বিশ্বাস,সহ ঘোনাপাড়া, চরগোবরা, ভাটিয়াপাড়া প্রভৃতি এলাকার অসংখ্য ভোটাররা জানান, তিনি পুনরায় গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকায় মাদক, রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে এবং সমাজের সকল অপরাধ মুক্ত থাকবে।ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এবং সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী সফিকুর রহমান চৌধুরী টুটুল পুনরায় সুযোগ চাচ্ছেন ইউনিয়নবাসীর কাছে।